আতশবাজি ডেকে আনছে বিপদ

 আতশবাজি ডেকে আনছে বিপদ 




নিজস্ব প্রতিবেদন : সামনেই দীপাবলি। কিন্তু দীপাবলিতে স্বপরিবার সমেত বাজি ফাটাতে আনন্দবোধ করেনি এমন মানুষ খুব কমই আছে। গত বছরের চিত্রটা হয়তো তেমনই ছিলো। কিন্তু এবছর ? কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কি বাজি পোড়ানো যাবে? নাকি আতশবাজি কাল হয়ে দাঁড়াবে করোনা মোকাবিলায়?


আতশবাজি ডেকে আনবে বিপদ এমনটাই দাবি করছে চিকিৎসক মহল। চিকিৎসকদের একাংশ আতশবাজি রুখতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি জানিয়েছে। আবার বহু মানুষের রুটিরুজির কথা ভেবে, মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা চিঠি দিয়েছেন আতশবাজির ব্যাবসায়ীরা।

কালিপূজার আতশবাজির ফলস্বরূপ বাতাসে দূষণের পরিমান বরবরের বেড়ে ওঠে, ভোগেন হাঁপানি ও হার্টের রোগীরা। তবে এবারে করোনার পরিস্থিতিকে সামনে রেখে , আতশবাজি বিপদ আনতে পারে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি জানিয়েছেন 'জয়েন্ট প্লাটফোর্মস অফ ডক্টারস'- কমিটির চিকিৎসকরা। দীপাবলিতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হোক বাজি, নাহলে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর হার আর বেড়ে যাবে- এমটনটাইব্দাবী চিকিৎসকদের একাংশ।



তথ্যসূত্রে বলা হচ্ছে, বাজির ধোঁয়া বাতাসের রাসায়নিকভাবে বায়ুদূষণ বাড়িয়ে দেয়। রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বা যাদের মৃত্য হচ্ছে তাদের অধিকাংশেরই ফুসফুসের সমস্যা। বায়ুতে মিশে থাকা রাসায়নিক ধোঁয়া ফুসফুসে চাপ বাড়িইয়ে দেয়, যা করোনা রোগীদের পক্ষ্যে  অত্যন্ত  বিপদজনক। দূষিত বায়ু কোভিড রোগীদের ঝুকি বাড়িয়ে দিচ্ছে বলছে  কেমব্রিজ ও হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়।




কিন্তু বাজি বন্ধ হলে, কোটি কোটি বাজি কারবারিদের পরিবার আর্থিক সংকটের দোড়গোড়ায় এসে দাঁড়াবে, যাদের বাজি-ই একমাত্র রুটিরুজি । মুখ্যমন্ত্রীকে এমনটা আর্জি জানিয়েছে বাজী ব্যবসায়ীরা। তাই তারা আইনজীবিদের হাত ধরছেন।

অর্থাৎ, আতশবাজি কোভিড আক্রান্তের পরিসিংখ্যান বাড়াবে? নাকি আতশবাজী ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে, রাজ্য সরকার বাজি পোড়ানোর বিষয়ে কিছু নিয়ন্ত্রণবিধি আনবে? খুব শীঘ্র তা জানাবে রাজ্য সরকার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ