করোনা টিকায় আগ্রাধিকার পাবে প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মীরা, এমনটাই জানালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদন : মারন রোগ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন কেবল কোন শক্তিশালী দেশের জন্য নয়। প্রত্যেকটি ভাইরাসে বিপর্যস্ত দেশ এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে, তাই করোনা টিকার সম বন্টন না হলে পৃথিবী কখনও সুস্থ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারবে না । সব দেশে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেবার কাজ খুব শীঘ্রই নিতে হবে। সব দেশ সুস্থ পরিবেশ ফিরে না আসলে বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না । সম্প্রতি এ কথাই জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান - টেডরোস ঘেবরেসাস । করোনা ভাইরাসের আক্রমণে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এই রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে ইংল্যান্ড, রাশিয়া, আমেরিকা, ভারত সহ বিশ্বের একাধিক দেশ করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই গবেষণার ইতিবাচক ফল মিলেছে । মানব দেহে পরীক্ষামূলক ভাবে টিকা প্রয়োগ করে ভ্যাক্সিন যাচাই পর্ব চালান হচ্ছে। যাতে অনেকটা আশার আলো নজরে আসছে । ইতিমধ্যেই রাশিয়া প্রথম করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আনার দাবি করেছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সেই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানান, করোনাতে বিদ্ধস্ত যেসব দেশগুলিতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি রয়েছে সেই দেশের মানুষদের চিহ্নিত করে প্রথমে করোনা টিকা দিতে হবে। মূলত প্রথম সারির স্বাস্থ্য কর্মীদের এই টিকা দেওয়া হবে যারা করোনা নিয়ে কাজ করছে । এছাড়া যাদের বয়স ষাটের উপরে ,যাদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি, তাঁরা এই টিকা পাবেন। তাই স্বাস্থ্য কর্মীদের তালিকা চেয়ে পাঠাল স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে চিঠি। নির্দেশিকা পৌঁছেছে জেলাতে জেলাতে। করোনা যুদ্ধে সামনের সারিতে থাকা সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোম, ডায়গনস্টিক সেন্টারের স্বাস্থ্যকর্মীদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে সেই চিঠিতে। চিঠি পাঠানো শুরু করেছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। অর্থাৎ ভ্যাক্সিন এলে প্রথম পাবেন স্বাস্থ্য কর্মীরাই। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ও জনসংখ্যার কত শতাংশ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে, সেই হিসাব কষে করোনা ভ্যাকসিন বন্টন করা হবে। আপাতত এমনিই পরিকল্পনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বছরের শেষের দিকেই করোনা ভ্যাকসিন আসতে চলেছে। তবে, সেই টিকা যাতে সব দেশে ঠিকমতো পৌঁছতে পারে, সেটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, প্রতিটি দেশ এই টিকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই টিকার চাহিদা প্রবল থাকবে।
0 মন্তব্যসমূহ